২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে আরো একটা জয়, টানা দ্বিতীয় জয়। শুধুই কি একটা ম্যাচ জয়? না, বরং একটা ইতিহাস; গৌরবময় মহা উপন্যাস! যেই উপন্যাসের প্রতিটি পরতে পরতে নতুনত্বের ছোঁয়া, নব্য সূর্যের শুভ্র আলোয় যেন নতুন দিনের সূচনা।
মিরপুরের উপচে পড়া গ্যালারি কিংবা টিভি সেটের সামনে পলক না নড়া অসংখ্য চোখ, সবাই একটা অপেক্ষায়, একই স্বপ্নে বিভোর। একটা মুহুর্তের জন্য ব্যাকুল হয়ে অপেক্ষায় সবে, অপেক্ষায় উত্তেজনা ঠাসা পারতে ব্যাকুল কোটি জনতা।
অবশেষে সাইদ আজমলের করা ৩৯তম ওভারের ১ম বল, সাকিব আল হাসান খেলে দিয়ে ধীরলয়ে প্রান্ত বদলালেন, আর তাতেই ঢুকে গেলেন ইতিহাসের পাতায়। শুধু সাকিব নয় ইতিহাসে ঠাঁই নিলো পুরো দেশ, প্রিয় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ম জয় থেকে দ্বিতীয় জয় পেতে যেখানে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৬ বছরের, সেখানে ৩য় জয় মাত্র একদিনের ব্যবধানে! অসম্ভবকে সম্ভব করেই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার বাংলাদেশের সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ! যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর দ্বিতীয় বিশ্বকাপজয়ী দেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়।
‘চাচা’ আকরাম খান ছিলেন ৯৯-এ ১ম পাকিস্তান বধের পার্শ্ব নায়ক, চাচাকে ছাপিয়ে তামিম সেদিন হয়ে উঠলেন নব্য রচিত মহাকাব্যের মূল চরিত্র; মহানায়ক। হবেনই বা না কেনো? পর পর ২ ম্যাচে শতক, নান্দনিক ব্যাটিংয়ের পসরা। পাকিস্তান যেন তার ব্যাটেই খেয়েছে ধরা।
মুশফিকও দারুণ ছন্দে, পেয়েছেন অর্ধশতকের দেখা। অনবদ্য সাকিবের সাথে বাকি বোলারদের প্রভাবও বলার মতো উত্তপ্ত। সেই উত্তপ্ততায় জ্বলে-পুড়েছেন পাকি ব্যাটসম্যানরা। হাতে উইকেট রেখেও রান তোলা যেন ক্রমশ দুস্কর্ম হয়ে উঠেছিলো তাদের কাছে।